অংক গণিত এই নামগুলো শুনলেই ছোটরা ত বটেই বড়রাও ভয় পেয়ে যায় । ঠিক গণিত পরীক্ষার আগেই ভয়ে অনেকে অসুস্থ ও হয়ে যায়। আর কারো কারো জ্যামিতির এত এত সংজ্ঞা , কঠিন কঠিন অংকন পদ্ধতিতে মাথা গুলিয়ে যায় । কিন্তু সত্যটা হল পরীক্ষায় পাশ আর ভালো নম্বর পেতে যেমন জ্যামিতিতে পাকা হতে হবে, তেমনি বড় বেলায় ও চাকরির নানা পরীক্ষায় জ্যামিতির নানা প্রশ্ন আসে। আর সারা জীবনই কাজে লাগে এই জ্যামিতির ধারণা। কিন্তু জ্যামিতিতে বড় বড় যোগ, গুণ, ভাগ কোনটিই করতে হয় না । কিছু সূত্র জানবেন ত’ আপনার ভুল করার কোন সম্ভাবনা নেই। আজকে আমরা শিখব কি করে জ্যামিতির ভয় তাড়ানো যায় ।
জ্যামিতিতে ভালো করতে হলে প্রস্তুতি নিতে হবে ছোট থেকে। ছোটবেলায়ই জ্যামিতির মৌলিক সংজ্ঞা ও ধারনাগুলো ভালো করে বুঝে নিতে হবে। বার বার এঁকে সংজ্ঞাগুলো পড়লে বুঝতে ও মনে রাখতে সহজ হবে।
বাসায় জ্যামিতির জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম অর্থাৎ জ্যামিতি বক্স রাখতে হবে। ছোটরা কোন কিছু বুঝতে না পারলে বা আঁকতে ভুল করলে বাবা মা বা বাসার বড় কোন সদস্যের কাছ থেকে সাহায্য নিতে পারে। আর একটু উপরের ক্লাসে উঠলে স্কুলের পাঠ্যবইয়ের সূত্রমালা একদম মুখস্থ করে নিতে হবে ।
ছোটবেলার ছোট ফাঁকি বড় বেলায় বড় হয়ে ধরা দিতে পারে। আর যদি ছোটবেলায় ফাঁকি দিয়েই থাকেন, এখনি একটু সময় খরচ করে আয়ত্ব করে নিন। আর একটু উপরের ক্লাসে উঠলে স্কুলের পাঠ্যবইয়ের সূত্রমালা একদম মুখস্থ করে নিন।
কোনো অঙ্ক বা জ্যামিতি না বুঝলে সেটা বাদ দিয়ে পরের অধ্যায়ে যাওয়া ঠিক নয়। যখন যেটা বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে সেটা শিক্ষকের সাহায্য নিয়ে ভালো করে বোঝা উচিৎ।
অনেক সময় দেখা যায় বাচ্চারা অন্য সব বিষয়ে ভালো করলেও অঙ্ক বা জ্যামিতি একদমই করতে চায় না কারন অন্য যেকোন বিষয় বাচ্চারা নিজে নিজে বুঝলে ও গনিতে বড়দের সাহায্য ছাড়া জটিল আর প্যাঁচানো বিষয়গুলো সমাধান করা যায় না।
জ্যামিতি কখনো মুখস্থ করার নয় । বাচ্চা বা বড়দের এই অভ্যাস থাকলে দ্রুত ত্যাগ করতে হবে এবং বুঝে সমাধান আনতে চেষ্টা করতে হবে ।
অনেক সময় অভিভাবকেরা একদিন বাচ্চাদেরকে পড়তে বসিয়ে দীর্ঘক্ষন টানা জ্যামিতি করাতে চান। এতে বাচ্চারা সহজে বিষয়গুলো ধরতে পারে না আর আগ্রহ ও হারিয়ে ফেলে।
বরং আসে পাশের ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, নানা কোণ, বৃত্তাকার জিনিস দেখিয়ে বাচ্চাদের সেগুলো শেখানো যেতে পারে।
আর চাকরি বা অন্য কোন পরীক্ষার প্রস্তুতির বেলায় একদিনে বইয়ের সব অঙ্ক শেষ করে ফেলার টার্গেট না নেওয়াই ভালো। বরং কোনো নির্দিষ্ট ধরনের অধ্যায়ের উপর পারদর্শী হওয়া ভালো। তাতে ভবিষ্যতে ভুল হওয়ার আশঙ্কা কম থাকবে।
একটি অধ্যায় শেষ হওয়ার পর বন্ধুদের সঙ্গে সেই অধ্যায়ের অঙ্ক নিয়ে আলোচনা করা খুব কাজে দেয়। এতে পারদর্শীতা বাড়বে।
আর একবার বিষয়গুলো আয়ত্ব হয়ে গেলে, সমস্যাগুলো কারো সাহায্য ছাড়া নিজে নিজে চেষ্টা করতে হবে।এতে করে ভুলে যাওয়ার আশংকা থাকবে না। বই পড়া, লেকচার অনুসরণ করা, নিজে নিজে বইয়ের এবং লেকচারে দেয়া সমস্যা সমাধান করা, বার বার চেষ্টা করা এসবের মধ্য দিয়েই জ্যামিতি শেখা হবে।